লালমনিরহাট জেলার তথ্য
৮।
লালমনিরহাট বাংলাদেশে রংপুর বিভাগের একটি জেলা। এটি দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর ভৌগোলিক অবস্থান, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। নিচে লালমনিরহাট জেলার প্রধান তথ্যগুলো দেওয়া হলো:
ভৌগোলিক অবস্থান
অবস্থান: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, তিস্তা নদীর তীরবর্তী।
সীমানা:
উত্তরে: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
পূর্বে: কুড়িগ্রাম জেলা।
পশ্চিমে: রংপুর জেলা।
দক্ষিণে: নীলফামারী জেলা।
আয়তন: ১,২৪৭.৩৭ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা
মোট জনসংখ্যা: প্রায় ১৫ লক্ষ (২০২২ সালের আনুমানিক)।
ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১,২২০ জন।
উপজেলা
লালমনিরহাট জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে:
1. লালমনিরহাট সদর।
2. হাতীবান্ধা।
3. পাটগ্রাম।
4. কালীগঞ্জ।
5. আদিতমারি।
প্রধান নদী
তিস্তা নদী: জেলাটির প্রধান নদী, যা কৃষি ও পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ধরলা নদী।
অর্থনীতি
কৃষি: লালমনিরহাটের প্রধান অর্থনৈতিক খাত। ধান, পাট, গম, আলু, ও সরিষা এখানকার প্রধান ফসল।
পশুপালন ও মৎস্য চাষ: এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ।
শিল্প: ছোট ও মাঝারি শিল্প রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা যথেষ্ট।
লালমনিরহাট সরকারি কলেজ এবং হাতীবান্ধা সরকারি কলেজ উল্লেখযোগ্য।
পর্যটন কেন্দ্র
1. তিস্তা ব্যারাজ: এটি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প এবং পর্যটন আকর্ষণ।
2. বুড়িমারী স্থলবন্দর: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
3. মজিদা খাতুন সেতু।
4. ধরলা নদীর তীর।
সংস্কৃতি
লালমনিরহাটের মানুষ মূলত বাংলাভাষী।
পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, ও বাউল গান এখানে জনপ্রিয়।
মেলা ও পার্বণ অনুষ্ঠানের সময় স্থানীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক দেখা যায়।
যোগাযোগ
সড়কপথ: ঢাকাসহ অন্যান্য প্রধান শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে।
রেলপথ: লালমনিরহাট রেলওয়ে জংশন দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল সংযোগ।
স্থলবন্দর: বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
বিশেষত্ব
লালমনিরহাট তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশেষ করে তিস্তা ও ধরলা নদীর জন্য পরিচিত। তিস্তা ব্যারাজ দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেচ প্রকল্প।
আপনার আরও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন হলে জানাবেন!
Comments
Post a Comment