রংপুর জেলার তথ্য


 ৭।

রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ জেলা। এটি রংপুর বিভাগের একটি অংশ। রংপুর জেলা দেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা এবং এটি এর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত।


সাধারণ তথ্য:


অবস্থান: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে।


আয়তন: ২,৪০৮.৩০ বর্গকিলোমিটার।


জনসংখ্যা: প্রায় ৩০ লাখ (২০২২ সালের আনুমানিক)।


উপজেলা: ৮টি (রংপুর সদর, পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা)।


ভাষা: বাংলা (স্থানীয় উপভাষা "রংপুরী" বা "রংপুরিয়া")।


মৌলিক পেশা: কৃষি, ব্যবসা, এবং ক্ষুদ্র শিল্প।



ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক:


1. ঐতিহাসিক স্থান:


তাজহাট জমিদার বাড়ি: একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা বর্তমানে একটি জাদুঘর।


ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নীলকুঠি: ব্রিটিশ শাসনামলের নিদর্শন।


কর্জন হল: রংপুর টাউন হলে অবস্থিত।




2. মহাপুরুষ ও ব্যক্তিত্ব:


বেগম রোকেয়া: নারীশিক্ষার অগ্রদূত।


মীর মশাররফ হোসেন: বিখ্যাত সাহিত্যিক।





অর্থনীতি ও কৃষি:


রংপুর একটি কৃষিভিত্তিক এলাকা।


প্রধান ফসল: ধান, পাট, গম, ভুট্টা এবং আলু।


শিল্প ও বাণিজ্য: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেমন তাঁত, সুতার কাজ, এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ।



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান:


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: একটি অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


কারমাইকেল কলেজ: উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ।



প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:


তিস্তা ব্যারেজ: তিস্তা নদীর উপর নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।


রংপুর চিড়িয়াখানা: একটি বিনোদন কেন্দ্র ও প্রাণী অভয়ারণ্য।



পরিবহন ও যোগাযোগ:


সড়ক, রেল, এবং আকাশপথে যোগাযোগ সহজলভ্য।


ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত সরাসরি বাস ও ট্রেন সেবা রয়েছে।



রংপুর জেলার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করে।


Comments

Popular posts from this blog

কুড়িগ্রাম জেলায় তথ্য

ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রাম কয়টি