Posts

কুড়িগ্রাম জেলায় তথ্য

Image
  ৯। কুড়িগ্রাম জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এটি রংপুর বিভাগে অবস্থিত এবং এর ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত। নিচে কুড়িগ্রাম জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো: ভৌগোলিক অবস্থান: অবস্থান: কুড়িগ্রাম জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সীমানা: উত্তরে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলা, পূর্বে লালমনিরহাট এবং পশ্চিমে রংপুর জেলা। নদ-নদী: কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ বেশ কয়েকটি প্রধান নদী প্রবাহিত হয়েছে। প্রশাসনিক বিভাগ: উপজেলা সংখ্যা: ৯টি (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, রাজিবপুর, এবং রৌমারী)। ইউনিয়ন সংখ্যা: ৭২টি। গ্রামের সংখ্যা: প্রায় ১,৯০০। জনসংখ্যা: জনসংখ্যা: প্রায় ২২ লক্ষ (সাম্প্রতিক আদমশুমারি অনুযায়ী)। প্রধান জাতিগোষ্ঠী: বাঙালি, আদিবাসী জনগোষ্ঠী। অর্থনীতি: প্রধান পেশা: কৃষি। ধান, পাট, গম, ও ভুট্টা প্রধান কৃষিজ ফসল। অন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম: পশুপালন, মৎস্যচাষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুড়িগ্রামে বেশ ...

লালমনিরহাট জেলার তথ্য

Image
  ৮। লালমনিরহাট বাংলাদেশে রংপুর বিভাগের একটি জেলা। এটি দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর ভৌগোলিক অবস্থান, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। নিচে লালমনিরহাট জেলার প্রধান তথ্যগুলো দেওয়া হলো: ভৌগোলিক অবস্থান অবস্থান: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, তিস্তা নদীর তীরবর্তী। সীমানা: উত্তরে: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। পূর্বে: কুড়িগ্রাম জেলা। পশ্চিমে: রংপুর জেলা। দক্ষিণে: নীলফামারী জেলা। আয়তন: ১,২৪৭.৩৭ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যা: প্রায় ১৫ লক্ষ (২০২২ সালের আনুমানিক)। ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১,২২০ জন। উপজেলা লালমনিরহাট জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে: 1. লালমনিরহাট সদর। 2. হাতীবান্ধা। 3. পাটগ্রাম। 4. কালীগঞ্জ। 5. আদিতমারি। প্রধান নদী তিস্তা নদী: জেলাটির প্রধান নদী, যা কৃষি ও পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধরলা নদী। অর্থনীতি কৃষি: লালমনিরহাটের প্রধান অর্থনৈতিক খাত। ধান, পাট, গম, আলু, ও সরিষা এখানকার প্রধান ফসল। পশুপালন ও মৎস্য চাষ: এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প: ছোট ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্য...

রংপুর জেলার তথ্য

Image
 ৭। রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ জেলা। এটি রংপুর বিভাগের একটি অংশ। রংপুর জেলা দেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা এবং এটি এর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। সাধারণ তথ্য: অবস্থান: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে। আয়তন: ২,৪০৮.৩০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা: প্রায় ৩০ লাখ (২০২২ সালের আনুমানিক)। উপজেলা: ৮টি (রংপুর সদর, পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা)। ভাষা: বাংলা (স্থানীয় উপভাষা "রংপুরী" বা "রংপুরিয়া")। মৌলিক পেশা: কৃষি, ব্যবসা, এবং ক্ষুদ্র শিল্প। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক: 1. ঐতিহাসিক স্থান: তাজহাট জমিদার বাড়ি: একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা বর্তমানে একটি জাদুঘর। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নীলকুঠি: ব্রিটিশ শাসনামলের নিদর্শন। কর্জন হল: রংপুর টাউন হলে অবস্থিত। 2. মহাপুরুষ ও ব্যক্তিত্ব: বেগম রোকেয়া: নারীশিক্ষার অগ্রদূত। মীর মশাররফ হোসেন: বিখ্যাত সাহিত্যিক। অর্থনীতি ও কৃষি: রংপুর একটি কৃষিভিত্তিক এলাকা। প্রধান ফসল: ধান, পাট, গম, ভুট্টা এবং আলু। শিল্প ও বাণিজ্য: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেমন তাঁত, সু...

দিনাজপুর জেলার তথ্য

Image
 ৬। দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের অন্তর্গত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। এটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য প্রসিদ্ধ। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: 1. আয়তন: ৩,৪৪৪.৩০ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা)। 2. জনসংখ্যা (২০২১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী): আনুমানিক ৩০ লাখ। 3. উপজেলা: দিনাজপুর জেলায় ১৩টি উপজেলা রয়েছে। বোচাগঞ্জ চিরিরবন্দর ফুলবাড়ী বিরামপুর বিরল পার্বতীপুর নবাবগঞ্জ কাহারোল হাকিমপুর ঘোড়াঘাট বীরগঞ্জ সদর খানসামা 4. প্রধান নদী: পুনর্ভবা, আত্রাই, ছোট যমুনা, টাঙ্গন। 5. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দিনাজপুর সরকারি কলেজ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। 6. প্রধান পর্যটন কেন্দ্র: কান্তজীউ মন্দির (তিনতলা টেরাকোটা কারুকার্যখচিত মন্দির)। রামসাগর দীঘি (বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার)। স্বপ্নপুরী (একটি বিনোদন কেন্দ্র)। 7. অর্থনীতি: দিনাজপুর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য পরিচিত। প্রধান শস্য ধান, গম, ভুট্টা, এবং লিচু। দিনাজপুরের লিচু সারাদেশে বিখ্যাত। 8. যোগাযোগ ব্যবস্থা: দিনাজপুরে...

নীলফামারী জেলার তথ্য

Image
৫।  নীলফামারী জেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি জেলা। এটি দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থান, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। নীলফামারী জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো: সাধারণ তথ্য: 1. আয়তন: ১,৬৪০.৯১ বর্গকিলোমিটার 2. জনসংখ্যা: প্রায় ১৮ লাখ (২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) 3. উপজেলা সংখ্যা: ৬টি (নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ) 4. ভৌগোলিক অবস্থান: উত্তরে পঞ্চগড়, দক্ষিণে রংপুর, পূর্বে লালমনিরহাট এবং পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা। ইতিহাস: নীলফামারী নামটি এসেছে নীল চাষের ইতিহাস থেকে। ব্রিটিশ আমলে নীলচাষ এবং এর বাণিজ্যের জন্য এই অঞ্চল পরিচিত ছিল। ১৮৭৫ সালে নীলফামারী একটি মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি জেলা হিসেবে উন্নীত হয়। অর্থনীতি: নীলফামারী জেলার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। প্রধান ফসল ধান, পাট, গম, ভুট্টা, এবং আলু। এছাড়া সৈয়দপুরে হ্যান্ডিক্রাফট, রেলওয়ে কারখানা এবং ছোটখাটো শিল্প রয়েছে। শিক্ষা: এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নীলফামারীতে ৮টি কলেজ...

পঞ্চগড় জেলার তথ্য

Image
 ৪। পঞ্চগড় জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এটি রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এবং দেশের সর্বউত্তরের জেলা। এই জেলার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: ভৌগোলিক অবস্থান অবস্থান: পঞ্চগড় জেলার উত্তরে ভারত, পূর্বে নীলফামারী, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও এবং পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা। আয়তন: প্রায় ১,৪০৪.৬৩ বর্গকিলোমিটার। সীমান্ত: এই জেলার প্রায় ২৮০ কিলোমিটার জুড়ে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। প্রশাসনিক বিভাগ পঞ্চগড় জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে: 1. পঞ্চগড় সদর 2. তেঁতুলিয়া 3. বোদা 4. আটোয়ারী 5. দেবীগঞ্জ জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যা: প্রায় ৯ লক্ষ (আনুমানিক, সাম্প্রতিক আদমশুমারি অনুযায়ী)। ধর্ম: মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ু নদী: করতোয়া, মহানন্দা, তিস্তা এবং পুনর্ভবা। জলবায়ু: শীতল এবং নাতিশীতোষ্ণ। শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। অর্থনীতি কৃষি: ধান, পাট, গম, আলু, চা, এবং ভুট্টা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। শিল্প: বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের অন্যতম অংশ এখান থেকে আসে। ব্যবসা-বাণিজ্...

ঠাকুরগাঁও জেলার তথ্য

Image
  ৩। ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তথ্য নিচে দেওয়া হলো: সাধারণ তথ্য 1. প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৪৭ সালে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। 2. ভৌগোলিক অবস্থান: এটি উত্তরে পঞ্চগড়, পূর্বে দিনাজপুর, দক্ষিণে দিনাজপুর ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সীমান্তযুক্ত। 3. আয়তন: প্রায় ১৮১০.৮৭ বর্গকিলোমিটার। 4. জনসংখ্যা: প্রায় ১৫ লাখ (২০২২ সালের আনুমানিক)। 5. উপজেলা: ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর। অর্থনীতি ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর। এখানকার প্রধান ফসল: ধান গম আলু ভুট্টা শিল্পক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁও চিনিকল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এখানকার ক্ষুদ্র কুটির শিল্পও প্রসিদ্ধ। পর্যটন স্থান 1. বালিয়াডাঙ্গী বধ্যভূমি: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। 2. পীরগঞ্জ ঠাকুরবাড়ি: ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান। 3. রাণীশংকৈল জাদুঘর: ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালা। 4. টাঙ্গন নদী: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণ। সাংস্কৃতিক বৈ...